ভাষণে তিনি কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ‘সিপিএমের সঙ্গে কংগ্রেসকে জোট বাঁধতে বারণ করেছিলাম। দু’টি আসনও ছাড়তে চেয়েছিলাম। কিন্তু ওরা শোনেনি। ওরা আসন ভাগাভাগি করেছে। আপনারা কি চান আমি সিপিএমের সামনে আত্মসমর্পণ করি? বিধানসভায় একটি আসনও নেই, তা সত্ত্বেও কংগ্রেস নেতৃবৃন্দকে দু’টি আসন দিতে চেয়েছিলাম। বলেছিলাম, সিপিএম-এর সঙ্গে জোট না করতে। কিন্তু ওরা কথা শোনেনি।’
প্রয়াত গনি খানকে স্মরণ করে মমতা বলেন, ‘বরকতদাকে আমরা শ্রদ্ধা করি। তিনি যত দিন ছিলেন আপনারা কংগ্রেসকে ভোট দিয়েছেন। আমরা খুশি হয়েছি। কিন্তু এখনো কেন বার বার ওদেরই ভোট দেবেন? মৌসম বেনজির নুরকে তো আমরাই জিতিয়েছিলাম। কিন্তু লোকসভায় গিয়ে যে চুপ করে বসে থাকে, মানুষের কথা বলে না, তাকে কেন প্রার্থী করব? মহুয়া মৈত্রকে দেখুন। সংসদে বিজেপির বিরুদ্ধে মুখ খুলত বলে ওকে তাড়িয়ে দিয়েছে।’
কংগ্রেসের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি আরও বলেছেন, ‘আমি তো বরাবরই কংগ্রেসকে সাহায্য করতে চেয়েছি। বিধানসভায় ওদের একটাও আসন নেই। তবু লোকসভায় দুটো আসন দিতে চেয়েছিলাম। ওরা নিল না, সিপিএমের হাত ধরল। আপনারা চান, বাংলায় আমি সিপিএমের কাছে আত্মসমর্পণ করি?’
গত বিধানসভা ভোটে মালদহে ফলাফলের কথা উল্লেখ করে মমতা বলেন, ‘মনে রাখবেন, মালদহ লোকসভা কিন্তু আগে কখনো তৃণমূল পায়নি। একুশের বিধানসভায় আপনারা আমাদের ঢেলে ভোট দিয়েছিলেন বলে বিজেপিকে আটকাতে পেরেছিলাম, তা হলে এবারেও নয় কেন?’
মমতা আরও বলেন, ‘ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। ভুল ত্রুটি যদি কেউ করে, তাতে দলের ওপর অভিমান হলে মানুষের কাছে ভুল স্বীকার করা উচিত। আপনারা বিধানসভায় গনি সাহেবকে জিতিয়েছিলেন। মালদহকে মর্যাদা দিয়ে তাকে ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যান করি। তিনি এলাকায় আসতে সময় পান না। তাই এখন থেকে এখানটা আমি নিজে দেখব।’
কোন মন্তব্য নেই